দেশের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে যেমন করোনা-আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, তেমনি করোনভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যাও বাড়ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে করোনা ইউনিট। এই ইউনিট স্থাপনের পর থেকেই সেখানে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু গত ৫ দিনেই সেখানে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৩ মে বিকেল থেকে বুধবার (২৭ মে) বিকেল পর্যন্ত ৫ দিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা রোগী সন্দেহ ও উপসর্গ নিয়ে এদের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৫ জন (কভিট-১৯) পজিটিভ পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের ডাক্তার আমেনা খাতুন (৬৩), কেরানীগঞ্জ এলাকার মেহেরুন নেসা (১০০) ও আকতার হোসেন (৫০), মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ীর আব্দুল জব্বার (৫৬), রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার সোহেল (৩২), যশোরের মনির (৫৫), রাজধানীর কদমতলীর সাহারা আক্তার (৬৫), হাজারীবাগের মনোয়ারা (৫২), রাশিদা বেগম (৫০)।
পঞ্চগড়ের সিনহা খসরু (৫০), মুন্সিগঞ্জ গজারিয়ার ঝুমা রানী সুত্রধর (৩৬), গাজীপুরের আলাউদ্দিন (৭২), মিরপুর পল্লবীর মো. আব্দুস সালাম (৫৫), চাঁদপুর মতলব এর তাজুল ইসলাম (৫৫), রাজধানী ঢাকার আব্দুল মালেক (৬০), মুকতার হোসেন (৫২), নারায়ণগঞ্জের রাশিদা (৪৫), টঙ্গীর মো. রুহুল আমিন (৬৭), বরিশালের উজিরপুরের মো. খোকন (৪৫), সাভারের দিপু (১২), নোয়াখালীর শাহীনা (৫৩), দিবাশীষ (২১), রাজধানীর কদমতলীর ফিরোজা (৪২)।
তমাল বেহারী (৭৫), নারায়ণগঞ্জের হোসনে আরা (৫৫), নবি হোসেন (৬৫), যাত্রাবাড়ীর আকমল হোসেন, রাজধানী খিলগাঁও এর কুদরক ই খুদা (৬৮), নারায়ণগঞ্জ এলাকার বাবলী বেগম (৫৫), যাত্রাবাড়ীর জয়নাল (৫৮), গেন্ডারিয়ার সালমা (৫১), ফতুল্লার লাল মোহাম্মদ (৭৫), চাঁদপুর মতলব এর কাউছার (৪১), পটুয়াখালীর প্রদীপ (০৮), নারায়ণগঞ্জের শাহজাহান (৪৮), রাজধানীর লালবাগের ফাতেমা (৫১), চাঁদপুরের মামুন (২৫), রাজধানীর সাজ্জাদ (৫০)।
নাসিমা (৫৮), মানিকগঞ্জ সদর এলাকার মিসেস সুফিয়া খানম (৮০), বরিশালের মো. কাইয়ুম (৫৫), লক্ষ্মীপুর সদর এলাকার আবুল কালাম (৬৫), রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আব্দুল মান্নান (৮৫), মিরপুরের সালেহা (৬৫), গাজীপুরের সুমাইয়া (২৯), রাজধানীর রাহিমা (৭০), বরিশালের আব্দুল মান্নান (৬৮), নারায়ণগঞ্জের শরিফা (৫৪) এবং মুন্সীগঞ্জের জাকিয়া সুলতানা (৩০)।
