উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার – সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান। আর চলতি সময়ের তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় সুরকার মুরাদ নূর। এই দু’জনের মধ্যে গুরু – শিষ্যের সম্পর্ক বিদ্যমান। এবার দু’জন একই মঞ্চে সৃষ্টিশীলতার সুতায় মালা গাঁথছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় নূর ক্রিয়েশনসের আয়োজনে মুরাদ নূরের সুরে, শেখ সাদী খানের সঙ্গীত পরিচালনায় পাঁচটি মৌলিক দেশাত্ববোধক গান প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি স্টুডিওতে গানগুলোর কণ্ঠধারণের কাজ শুরু হয়। গোলাম মোর্শেদের কথায়, প্রথম গানটি গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী সাব্বির জামান। দেশের বরেণ্য গীতিকবিদের কথায়, তরুণ কণ্ঠশিল্পীদের কণ্ঠে আসছে পহেলা ডিসেম্বর “বিজয়ের উল্লাস” শিরোনামে শিল্পকলার সঙ্গীতশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের উপস্থিতির অনুষ্ঠানে গানগুলো প্রকাশ হবে বলে জানান মুরাদ নূর।
এই প্রসঙ্গে বিজয়ের উল্লাসের আয়োজক সুরকার মুরাদ নূর বলেন, আমার সঙ্গীত গুরু শেখ সাদী খানজীর নামের সাথে সৃষ্টিশীলতায় যুক্ত হবো – এটা আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। আমার সেই স্বপ্ন পূর্ণ হতে চলছে। এই স্বপ্নপূরণে সংশ্লিষ্ট সকলে পাশে থাকায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা দেশের গান বেঁধে ইতিহাস শুরু করছি, এটাই গর্বের। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান বলেন, নূর আমাকে গুরু ডাকে, আমিও তাকে পছন্দ করি। তার সৃষ্টিশীলতার আগ্রহ, শেখার প্রচেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করে। কথার সাথে সমন্বয় করে সুর করার চেষ্টা করেছে, তরুণরাই তো আমাদের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি এগিয়ে নেবে। নূরকে দোয়া ও ভালোবাসা। সাব্বিরসহ বাকিরাও পরীক্ষিত কণ্ঠশিল্পী। নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে।
কণ্ঠশিল্পী সাব্বির জামান বলেন, বন্ধু মুরাদ নূরকে ধন্যবাদ ঐতিহাসিক এমন প্রজেক্টে আমাকে সিলেক্ট করার জন্য। এই গানটি আমার জীবনের অন্যতম মৌলিক দেশের গান। সবার দোয়া চাই।
জানা যায়, প্রথম গান রেকর্ডিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমির প্রতিনিধিবৃন্দ ও অনুষ্ঠান আহবায়ক নির্মাতা বদিউল আলম খোকন। তিনি বলেন, আগামী পহেলা ডিসেম্বর ২০২৩, সন্ধায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে গানের রুপ – রুটের সমন্বয়ে শামছি শায়েকার কোরিওগ্রাফিতে প্রকাশ হবে।