প্রধানমন্ত্রীর অর্থ-উপহার পাবে কক্সবাজারের ৭৫ হাজার পরিবার

জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার

প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার ৭৫ হাজার পরিবারকে মোট ১৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করা হবে। এতে তালিকাভুক্ত প্রতিটি পরিবার নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবে।

এ অর্থ করোনা-সংকটে অসহায় হয়ে পড়া তালিকাভুক্ত পরিবারের সদস্যদের মোবাইল নম্বরে শিওরক্যাশ, নগদ, ইউক্যাশ, বিকাশসহ ৪টি অর্থ লেনদেনকারী অপারেটরের মাধ্যমে আপনাআপনি উপকারভোগীদের মোবাইল হিসাবে চলে যাবে। কক্সবাজারসহ সারা দেশের এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রমটি আজ (১৪ মে) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইদ্বোধন করেছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন ১৩ মে (বুধবার) এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলর ও মেয়রের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তৈরি করা ৭৫ হাজার পরিবারের উপকারভোগীর প্রাথমিক তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের দিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। তালিকার ছোটখাট ত্রুটিসমূহ, যেমন- মোবাইল ফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি ভুল থাকলে সেগুলো সংশোধনের পর চূড়ান্ত তালিকাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যেই তালিকাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মোবাইল ফোনের হিসাবে অপারেটরের মাধ্যমে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন উদ্ভাবিত একটি পদ্ধতি। জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন জানান, দেশের আইসিটি বিভাগ সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও সুন্দরভাবে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে এই নতুন সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের এই সফটওয়্যারে প্রতিটি উপকারভোগী পরিবারের ২৪টি করে তথ্য দিতে হয়েছে। এ পদ্ধতিতে নগদ অর্থ বিতরণে অনিয়ম ও কারচুপির কোনো আশঙ্কা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

কক্সবাজার জেলার করোনা সংকটে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে গত ৩ মে অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা ও পৌরসভার জনসংখ্যা অনুপাতে উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *