রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙন রোধে বাম তীরে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এতে ওই এলাকার ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।
মঙ্গলবার, ১১ আগষ্ট সকালে লক্ষীটারী ইউনিয়নের ইচলী গ্রামে এসকেএস বাজার সংলগ্ন রংপুর-বুড়িমারী স্থলবন্দর সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ লাইনে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল হোসেন আশরাফী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ইউপি সদস্য আব্দুল মোন্নাফ, ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকসহ তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিবর্গ।
বক্তাগন শেখ হাসিনা সেতু থেকে শংকরদহ ও ইচলীচর হয়ে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে কয়েকদফা বন্যায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতে জোরা ব্রিজ ও বুড়িমারী স্থল বন্দর সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে স্থাপিত ব্লক নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ফলে ওই ব্রিজটিসহ হুমকির মুখে পড়েছে স্থল বন্দরের সাথে রংপুর তথা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এসময় বক্তারা বলেন, এবারের কয়েক দফার ভাঙনে শংকরদহ গ্রামটি বিলিন হয়ে গেছে। পশ্চিম ইচলীর অর্ধেক গ্রাম বিলিন হয়েছে। বিলিন হয়েছে প্রায় ৬ শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি, স্কুল-মাদ্রাসা, আশ্রয়ন গ্রাম, আবাদী জমি, গাছ, বাঁশ, ভেঙে গেছে রাস্তা ও বিভিন্ন রাস্তার ব্রিজ।
আরও পড়ুন: বন্দরনগরীতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চসিকের ভ্রাম্যমান আদালত
বাঁধ নির্মানের এই দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসুচি দেয়া হবে বলে মানববন্ধনে ঘোষনা দেওয়া হয়।
গঙ্গাচড়া এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাস্তা ও ব্রিজ রক্ষার্থে বস্তায় বালু ভরে ভাঙন কবলিত এলাকায় ফেলা হচ্ছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে এ প্রতিনিধিকে জানান, জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে এলজিইডি ব্যবস্থা নিয়েছে।