সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার ও দুর্বৃত্ত চক্রের তৎপরতায় উপমন্ত্রী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ

সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার ও দুর্বৃত্ত চক্রের তৎপরতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষায়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মোংলা উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভায় সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসকে নজরদারী বৃদ্ধি সহ আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আইন শৃঙ্খলা, করোনা পরিস্থিতি ও খাদ্য সহায়তা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রমের পাশাপাশি সুন্দরবন উপকুলের জেলে ও সুন্দরবন সুরক্ষার বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। এ সময় সম্প্রতি আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে কয়েক দফায় হরিণের মাংস, গাজাঁ, ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদকের চালান আটক হয়। এর সাথে জড়িদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাটায় পুলিশ বলে এ মিটিংয়ে উঠে আসে। এছাড়া বনের অভ্যান্তরে জেলে ভ্যাসে প্রবেশ করে বিষ ও ফাদঁ পেতে মাছ এবং বনের হরিণ শিকার করছে কয়েকটি দুষ্ট চক্র। ইতি মধ্যে বিষসহ বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে।

নিষিদ্ধ কীটনাশকসহ বনের মৎস্য, বনজ ও জীব বৈচিত্র এবং এখানকার অপরাধী চক্রের তৎপরতা নিয়ে কথা বলেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাস’র কারনে দীর্ঘ কয়েক মাস মোংলা-রামপালে সফর করা হয়নি বলে বনে অপরাধ চক্রের তৎপরতা বেড়ে যাবে, তা কখনই মেনে নেওয়া হবেনা। এ সরকারের পুর্বে এ অঞ্চলে অপরাধও চলতো এবং অপরাধীও ছিল অনেক বেশী, কিন্ত বর্তমান সরকার বনের বন দস্যুদের সুযোগ করে দিয়েছে ভাল পথে ফিরে আসার জন্য তাই অপরাধ কমে গেছে। তার পরেও যারা বনের বা বনের সম্পদের ক্ষতি করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে প্রমাশনকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন উপমন্ত্রী।

সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদা, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নয়ন কুমার রাজবংশি, নৌ বাহিনীর কন্টিজেন্ট কমান্ডার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অসিফ ইকবাল, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’র ডেপুটি মকান্ডার শেখ আঃ রহমান, উপজেলার সকল সরকারী প্রাঃ বিঃ, মাধ্যমিক বিঃ, মাদ্রাসা ও কলেজ’র প্রধানগন, ছয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ও আওয়ামীলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *