যে খাবারে লুকিয়ে তারুণ্যের রহস্য

সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। কিছু খাবার আছে যেগুলো কেবল শরীর সুস্থই রাখে না, ত্বকের তারুণ্যও ধরে রাখতে সাহায্য করে।

শাক-সবজি: শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন শাক-সবজি খাওয়া উচিত। কিন্তু অনেকেই জানে না যে এটি ত্বকের তারুণ্যও ধরে রাখে। জার্নাল অব আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত শাক, ফল ও মাছ খান তাদের ত্বকে ফাইন লাইন বা রেখা দেখা দেয় না বললেই চলে। সবুজ শাকে প্রচুর ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যারোটিনয়েড ভিটামিন ‘এ’ এর ভালো উৎস যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

লাল ফল: লাল ফলে থাকা লাইকোপেন উপাদান ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। বেরি ও টমেটোর মতো লাল রঙের ফলে লাইকোপেন উপাদানের পাশাপাশি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে।

অলিভ অয়েল: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অলিভ অয়েল হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। অলিভ অয়েলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের পাশাপাশি ভিটামিন ই এবং পলিফেনল কোলাজেন নষ্ট হতে দেয় না। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না।

গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’, উপাদানে ভরপুর গ্রিন টি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বহুমুখী উপকারিতা পেতে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পানের পরামর্শ দেন।

কফি: এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ক্যাফেইন শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে, ত্বকের লালচেভাব এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করে। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা ত্বককে সুরক্ষিত রাখে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

হলুদ: ত্বকের যত্নের উপাদান হিসেবে হলুদ বেশ জনপ্রিয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ, প্রদাহ প্রতিরোধী, ক্ষত সারাতে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল হিসেবে পরিচিত। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ।

ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্লাভোনল উপস্থিতি রয়েছে। যা ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *