পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজি এসএম রুহুল আমিন বলেছেন, ইলেকশনের সঙ্গে খুব একটা জঙ্গিবাদের রিলেশন বিদ্যমান বলা যাবে না। কিন্তু জঙ্গিরা অলওয়েজ একটা অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করতে চায়। নির্বাচন নিয়ে যেহেতু আমাদের মাঝে অস্থিরতা রয়েছে তাই জঙ্গিরা নানারকম রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মতবিরোধের সুযোগ নিতে পারে। একারণে আমরা সতর্ক রয়েছি। শনিবার(৭অক্টোবর) দুপুরবেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সেখানে ‘উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে টিচার ও স্টুডেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ।
অতিরিক্ত আইজি এসএম রুহুল আমিন বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমরা সকলেই মিলে একসাথে সমন্বয় করে কাজ করছি। আশা করছি জঙ্গিরা বাংলাদেশের মাটিতে আর ঘাটি করতে পারবে না।জঙ্গিবাদ দমন ও নির্মুলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাহায্যে সারাদেশের প্রতিটি মেট্রোপলিটন ও জেলায় একটা করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিট প্রধান ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছি। সেই প্রশিক্ষণ এই মাস হতে আরম্ভ হবে। চলবে আগামী ৩-৪মাস।
তিনি আরও বলেন, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ বিস্তারের যে পটভূমি রয়েছে সেই আলোকে উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিবাদের ইফেক্ট বেশি। কিন্তু দারিদ্রের সঙ্গে জঙ্গিবাদের একটা রিলেশন রয়েছে। কেননা এক সময় উত্তরাঞ্চল তথা রংপুর বিভাগে দারিদ্রতা, আর্থিক পরিস্থিতি বেশ ভালো ছিলো না। সেই সুযোগটা নিয়ে জঙ্গিবাদের প্রসার ঘটেছে। তবে কেবলমাত্র রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলেই নয়,বর্তমানে সারাদেশেই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ রয়েছে। বিশেষ করে দেশের রাজধানী ঢাকার নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আজকাল ভার্চুয়াল বিশ্বে জঙ্গিরা প্রচণ্ড এ্যাকটিভ আছে। ওই জায়গা আমরা সাইবার পেট্রোলিংয়ের সাহায্যে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি তার সাথে মনিটরিং করছি। সেই সঙ্গে জনসাধারণের সাহায্য ব্যতীত জঙ্গিবাদ নিবারণ এবং নির্মূল করা পসিবল না। এজন্যই জনসাধারণের সঙ্গে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে টিচার ও স্টুডেন্টদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনাসহ অন্যান্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান।
মর্নিংনিউজ/ বিআই/ এসইউ