খাগড়াছড়ি দিঘীনালা উপজেলা বাবুছড়া ইউনিয়নের পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা ও পার্বত্য ভুমি রক্ষা আন্দোলন কমিটির দীঘিনালা উপজেলা ইউনিটের সভাপতি আব্দুল মালেক ও তার পরিবারের উপর রাতের অন্ধকারে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্রাসফায়ার এবং আব্দুল মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার (৪২)কে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৮ ই আগষ্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেন কেন্দ্রীয়ভাবে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ১২ দফা দিয়ে স্মারক লিপি পেশ করা হয়।
মানব্বন্ধন এ উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির, সহ -সভাপতি শেখ আহম্মেদ রাজু, সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ রানা, পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ- যুগ্ম মহাসচিব বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর এডভোকেট মোহাম্মদ আলম, পার্বত্য চট্রগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাৎ ফরাজি শাকিব, ও পিসিএনপির খাগড়াছড়ি জেলা নেতা রবিউল হোসেন সহ আরো কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিত ছিলেন ।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, দিঘীনালায় ৮১২ পরিবারের জন্য সরকারের দেওয়া ৫ একর সম্পত্তি উপজাতিরা দখল করে আছে দীর্ঘ ৩ যুগ থেকে এবং তাদেরকে সাহস দিচ্ছে উপজাতিদের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস। আব্দুল মালেক ছিলেন বাঙালীদের এই ভূমিহারা পরিবারের নেতা, সন্ত্রাসীরা মনে করেছে আবদুল মালেককে হত্যা করতে পারলে বাঙালীদের জমি দখল করে রাখতে আর কোন বাধা থাকবেনা এবং ৮১২ পরিবারের পক্ষে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গন এলাকার নদীর পাড় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিন: প্রধানমন্ত্রী
বক্তারা আরও বলেন, সোনা মিয়া টিলার বাঙালীদের জায়গা দ্রুত বাঙালীদের নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে,এবং চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল মালেকের স্ত্রীর হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির আওতায় আনতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে ও পাহাড়ে শান্তি আনতে জেএসএস ও ইউপিডিএফ সহ সশস্ত্র পাহাড়ী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে কঠোর ভাবে দমন করতে হবে।