চীনকে আটকাতে ৪ দেশের বৈঠক

চীনের প্রভাব ঠেকাতে টোকিওতে দুই দিনের বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। চার দেশের জোটের নাম কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ বা কোয়াড।

বিবিসি জানিয়েছে, সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে প্রায় চার মাস ধরে চলা বিপজ্জনক উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে শুরু হওয়া বৈঠকটি নিয়ে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালে ভার্চুয়াল বৈঠক না করে তারা যে একসঙ্গে বসে আলোচনা করলেন, তার থেকেই পরিষ্কার বিষয়টিকে তারা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে কোয়াডের বৈঠক হয়েছিল। তারপর আবার হচ্ছে টোকিওতে।

কোয়াডের বৈঠকের আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর আলাদা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী  মাইক পম্পেওর সঙ্গে কথা বলেন। লাদাখে সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকের পর জয়শঙ্কর টুইট করে বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। চার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন।

জয়শঙ্কর তাঁর ভাষণে আরও বলেছেন, ভারত আন্তর্জাতিক জলপথের ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন  মেনে চলার ব্যাপারে দায়বদ্ধ। ভারত এখানে আইন, স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক জলপথ ব্যবহারের স্বাধীনতার পক্ষে। সেই সঙ্গে ভারত চায় সব দেশ যেন অন্যের সার্বভৌমত্ব মেনে চলে এবং সমস্যার সমাধানে শান্তিপূর্ণ পথ বেছে নেয়।

এদিকে, প্রধান বৈরী এই চার দেশের মধ্যকার বৈঠককে কেন্দ্র করে চীন বেশ উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। মঙ্গল ও বুধবার টোকিওতে কোয়াডের এই বৈঠক চলার সময় একই সাথে তিন থেকে চারটি নৌ এবং বিমান মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। চীন পূর্বে  জানিয়েছিল, চার দেশ কখনোই পঞ্চম কোনো দেশকে নিয়ে এই ভাবে আলোচনা করতে পারে না। আগের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, চীনের বিরোধিতা করার জন্য কোয়াড নয়। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য কোয়াড।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *