ঝিনাইদহে সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশের একটি ঝোপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক গত তিন দিন নিখোঁজ ছিলো বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। নিখোঁজ ওই যুবকের মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করেন তার স্ত্রী তৃষা নন্দী। নিহত যুবকের নাম অমিত সাহা(৩৫)। তার বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ শহরের কচাতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, সকাল আনুমানিক এগারোটার দিকে পথচারীরা রাস্তার পাশে অর্ধগলিত একটি বস্তাবন্দী মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ এখানে ফেলে রেখে গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী তৃষা নন্দী বলেন, ‘আমার স্বামী অমিত সাহা ডিসি অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটা খাবারের ক্যান্টিনের ব্যবসা করত। সেই সূত্রে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার রাজনুর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া তৈরি হয়। এরই মধ্যে অমিত ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু টাকা দেনা হয়ে যায়। সে এসব দেনা শোধ করতে পারছিলোনা। এদিকে রাজনু তার দেনার টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেয়। ৩১শে আগস্ট বিকেলের দিকে রাজনু আমাদের বাসায় এসে অমিতকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেই। আজকে সকালে তাঁর লাশ পেলাম। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মর্নিংনিউজ/বিআইএস
