আকাশ ইসলাম: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শেখ রাসেল আহমেদ বাড়ির আঙিনায় ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। এখন মাঠেও আবাদ করেছেন। ভালো জাত চিনে চাষ করায় সফলতাও পেয়েছেন তিনি।
রাসেল জানান, ইউটিউব চ্যানেলে চাষের বিভিন্ন ভিডিও দেখে তিনি ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন। পরে প্রথমে বাড়ির আঙিনার ১৬ শতক জমিতে ও পরে মাঠে এক বিঘা জমিতে আবাদ শুরু করেন। চলতি বছর আরও এক বিঘা জমিতে ড্রাগনের চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে তার এখন ড্রাগনের আবাদ আছে ২ বিঘা ১৬ শতক জমিতে।
তিনি জানান, তার এক বিঘা জমিতে ২২০টি পিলার আছে। প্রতিটি পিলারের দাম পড়েছে ২২০ টাকা। পিলারগুলো বাইরে থেকে না কিনে নিজেই তৈরি করেছেন। এতে পিলার মজবুত হয়েছে। প্রতিটি পিলারের গোড়ায় ৪টি করে ড্রাগনের চারা রোপণ করা হয়েছে। এক বিঘায় ৮৮০টি চারা রোপণ করেছেন। পিলার, টায়ার, চারা, সার, কীটনাশক, সেচ পরিচর্যা বাবদ এক বিঘা জমিতে তার প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কেজিতে ৮-১০টি ফল হলে তার দাম কম। কেজিতে ৩-৪টি হলে দাম ভালো পাওয়া যায়। সুতরাং চারা লাগানোর সময় অবশ্যই কেজিতে সর্বোচ্চ ৪টি ফল হয় সে জাতের ড্রাগনের চারা লাগাতে হবে। এতে ফলের দাম ভালো পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহিদুল করিম বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬০ জন কৃষক দেড়শ’ বিঘা জমিতে ড্রাগনের আবাদ করছেন। রাসেলের ড্রাগনের বাগান সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। যারা ড্রাগনের চাষ করছেন কৃষি বিভাগ তাদের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছেন ও ফল বিক্রির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।