দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ স্বাস্থ্য বিভাগের

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ স্বাস্থ্য বিভাগের

অফিস টাইমে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক গণটিকাদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ না করে প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করার সময় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: মাহাবুবুল আলম কে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তাকে কারন দর্শানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে।
জানা যায়, সারা দেশ ব্যাপী বিশেষ টিকাদান ক্যাম্পইনের আওতায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান শুরু হয় সকাল থেকেই। সেই কার্যক্রম তদারকির জন্য শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: মাহাবুবুল আলম’কে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসাবে সকালে ইউনিয়নে যেতে নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
কিন্তু সেসময় সেখানে না গিয়ে উপজেলা শহরের খন্দকার প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করতে যান তিনি। সেসময় স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে ডা: মাহাবুবুল আলমকে সিজাররত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে ডা: মাহাবুবুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কোন সিজার করতে যাইনি। সিভিল সার্জন বা কে কি বলেছে সেটা তাদের ব্যাপার।
তবে খন্দকার প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক ফজলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাশেদ আল মামুন জানান, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষনের দায়িত্ব ছিল ডা: মাহাবুবুল আলমের উপর। কিন্তু বেলা ১১ টার দিকে অভিযোগ আসে সে ইউনিয়নে যায়নি। শৈলকুপা শহরের বে-সরকারী হাসপাতাল খন্দকার ক্লিনিকে সিজার করছিল। বিষয়টি শুনে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখা যায় মাহাবুবুল আলম সিজার করছে। কেন সে অফিস টাইমে এমনটি করেছে এর জন্য জবাব দিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, সরকারী দায়িত্ব ছেড়ে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সেই ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসক সরকারী চাকুরী করে সরকারী ডিউটি ছেড়ে বে-সরকারী ক্লিনিকে অপারেশন করবে এটা হতে পারে না।
সিভিল সার্জন আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি ফোনে জানিয়েছে। আমি শোকজ করতে তাকে নির্দেশনা দিয়েছি। এই চিঠি আমার কাছে আসলে সেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। কেননা শুধু সতর্ক করলে হবে না, সতর্কতার সাথে কঠোর আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহন করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *