ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিধ্বস্ত খুলনার কয়রা উপজেলার আশপাশের নদ-নদীর পানি বেড়ে ভোগান্তি বাড়ছে। উপকূলীয় এ উপজেলায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। যাতায়াতসহ স্বাভাবিক জীবনযাপনে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন জোয়ারের পানি বাড়ছে। কিন্তু বুধবার (১৯ আগস্ট) রিং বাঁধ উপচে পানি গ্রামে প্রবেশ করেছে। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বুধবার দুপুরে কয়রার প্রায় প্রতিটি ঘরে তিন থেকে চার ফুট পানি উঠেছে। আম্ফানের পর ৮৯তম দিনেও পানি মুক্ত হতে পারেনি কয়রা।
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন জাগ্রত যুব সংঘের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, কয়রার কাজী পাড়া, পুটিহারী, হরিণখোলা, কাশির হাট খোলা, ঘাটাখালি, দুই নম্বর কয়রা এলাকায় হঠাৎ করে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ডুবে পড়েছে। আবহাওয়া বৈরি হওয়ায় হরিণখোলা, ঘাটাখালি, দুই নম্বর কয়রার রিং বাঁধ উপচে কপোতাক্ষ নদের পানি গ্রামে প্রবেশ করেছে। এলজিইডির রিং বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ডুকছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে তিন থেকে চার ফুট পানি উঠেছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কিশোর বলাৎকার, কারাগারে অভিযুক্ত আসামি
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ও ফণীর পর আম্ফানের আঘাতে কয়রায় বাড়ি-ঘর বেড়ি বাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে নোনা পানির কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। অস্তিত্ব রক্ষায় কয়রাবাসী নিজেরাই দল বেঁধে বাঁধ মেরামত করেছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার জোয়ারের অতিরিক্ত পানির তোড়ে বাঁধ উপচে বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকেছে। এতে নতুন করে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে হাজারো মানুষের।