বন্দর নগরীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

ছবি: মর্নিং নিউজ বিডি

কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে জমে উঠছে নগরের পশুর হাটগুলোও। বাড়ছে বেচাকেনা। এতে হাসি ফুটছে বেপারি ও ইজারাদারের মুখে। আবার সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু পেয়ে খুশি ক্রেতাও।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু মাঝারি বা ছোট নয়, ক্রেতার আগ্রহ আছে বড় সাইজের গরুতেও। প্রায় প্রতিটি বাজারে দুই থেকে তিন লাখ টাকা দামের গরু বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন। গতকালও বিবিরহাট বাজারে আড়াই লাখ টাকা দামের গরু বিক্রি হয়েছে। লোকজনও প্রচুর আসছেন। আজ থেকে বাজার আরো জমজমাট হবে এবং বেচাবিক্রিও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এছাড়াও তথ্যমতে, আজ ৩১ মণ ওজনের ২৫ লাখ টাকা দামের একটি গরু বাজারে আসবে। গতকাল সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা দামের একটি গরু বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারে মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে উদ্ভুত আগুনে দগ্ধ ডা. রাজীব মারা গেছেন

সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরে এবার তিনটি স্থায়ীসহ সাতটি পশুর হাটে গত বৃহস্পতিবার থেকে পশু বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। স্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে- সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী চারটি বাজার হচ্ছে- কমল মহাজন হাট পশু বাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার ও ৪১ নং ওয়ার্ডস্থ বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ এবং কর্ণফুলী পশুর বাজার। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নাটোরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারিরা গরু নিয়ে এসেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তিনফুট দূরত্ব অবস্থানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে নির্দেশনা আছে, তা মানা হচ্ছে না বাজারগুলোতে। বয়স্কদের বাজারে না যাওয়ার নির্দেশনা থাকলেও অনেক প্রবীণ লোককে বাজারে দেখা গেছে। এদিকে সাগরিকা পশুরহাট ঘুরে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে কিন্তু বাজারে এখনও পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে বাজারে প্রতিদিন ক্রেতার উপস্থিতি বাড়ছে, অল্পস্বল্প কিছু বেচাকেনাও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্টরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *