বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ

কক্সবাজারের মহেশখালীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ওই ঘটনায় তিন বছর আগে পুলিশের পক্ষে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় ওসি প্রদীপ ও পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০)। বুধবার মামলাটির শুনানি হয়। বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন ফৌজদারি দরখাস্তটি আমলে নিতে অপারগতা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট রয়েছে।

পরে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি এএসপি মর্যাদার নিচে নয়, এমন একজন সিআইডি কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।

হামিদা আক্তারের দায়ের করা ফৌজদারি দরখাস্তে ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস, থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়। ভিকটিম আবদুস সাত্তার হোয়ানকের পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত নুরুচ্ছফারের ছেলে।

হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তারা। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয়নি বলে জানান হামিদা আক্তার।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *