শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তার অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে দুদকের তদন্ত

 

শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগে দুদকের তদন্ত। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় যশোর জেলা দুদক অফিস থেকে সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দীনসহ ৫সদস্যর একটি তদন্ত টিম দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষৎকার গ্রহন করেন। বর্তমান কর্মকর্তার পূর্বে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম শরিফ ও অফিস সহকারী সাইদুর রহমান এবং ম্যাকানিক রনি হোসেন আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে উপজেলার ৩৩৭জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১০হাজার টাকা থেকে ৩০হাজার টাকা হারে আদায় করে টিউবওয়েল না দিয়ে আত্মসাথ করে। এ ঘটনা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর হলে তাদেরকে একযোগে অন্যত্র বাদলি করেন। কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্রহন করা নগদ টাকার কি হবে। কোন সমাধান দিতে পারেনি কর্তপক্ষ। তবে এ ঘটনায় বর্তমান কর্মকর্তা মৌসুমী হালদারের সহযোগিতায় গত ১৭/০৮/২০২৩ তারিখে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৮লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে ৬৬জন কে ফেরৎ দিয়েছে। তবে গ্রাহকদের দাবি সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মেদ তোতা, বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, ডিহি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল ও বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমানদের সাথে নিয়ে অফিসে আসেন। গোলাম শরিফ, ম্যাকানিক রনি ও অফিস সহকারী সাইদুর রহমানের মাধ্যমে আর্সেনিক মুক্ত পানির কল নেওয়ার জন্য ১০থেকে ৩০হাজার টাকা হারে জমা দেয়। কিন্তু তারা আজও কল পায়নি। টাকাও ফেরৎ পায়নি। উক্ত চেয়ারম্যান গণ এক স্বাক্ষৎকারে অভিযোগ করে বলেন ৩৩৭জনের কাছ থেকে যে সকল কর্মকর্তা কর্মচারি ১০থেকে ৩০হাজার টাকা নিয়েছে তাদের সমুদয় টাকা ফেরৎ দিতে হবে। কোন অবস্থায় কোন গ্রাহকের কর্মকর্তা ফেরৎ দিলে হবে না। বর্তমান কর্মকর্তা গত ১৭/০৮/২৩ তারিখে ৬৬জন গ্রাহকের টাকা ফেরৎ দেওয়ার সময় কোন গ্রাহককে ৫হাজার, ৬হাজার থেকে ৮হাজার টাকা হারে ফেরৎ প্রদান করেছেন। তাছাড়া মৌসুমী হালদার একজন অনভিজ্ঞ কর্মকর্তা, সময় মত অফিস করেন না এবং নিজেই ঠিকাদারের কাজও করেন। বর্তমান কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করে একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হউক। ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন আহম্মেদ তোতা এক স্বাক্ষৎকারে বলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা যোগদানের সময় ষ্টোরের মালামাল বুঝে না নিয়ে গোপনে মূল্যবান মালামাল বিক্রয় করারও অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন এক উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এ দপ্তরের কর্মকর্তার যোগসাজসে অনিয়ম-দূর্ণীতির কারনে ক্ষতিগ্রস্থ সেলিম রেজার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্তে এসে অভিযোগ সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে এবং কেচো খুঁজতে সাপ বেড়িয়ে এসেছে।

 

মর্নিংনিউজ/বিআই/এআর

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *