সাকো ওয়াচ নিয়ে এলো ‘বেল অ্যান্ড রস’ ব্র্যান্ডের ঘড়ি

সাকো ওয়াচ কম্পানি দেশে নিয়ে এলো সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘড়ি ‘বেল অ্যান্ড রস’। যা পাওয়া যাবে ৩ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে।

সম্প্রতি যমুনা ফিউচার পার্কের নিচ তলায় এই ঘড়ির বিক্রির একটি শো-রুমের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং বরিশাল-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সাকো ওয়াচ কম্পানি বহু বছর ধরে বাংলাদেশে সুইস ব্রান্ড ঘড়ি আমদানি করে বাংলাদেশের ঘড়ি প্রেমীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। তাঁরা দেশে ঘড়ি ব্যবসার ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমি জেনেছি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাকো ওয়াচ কম্পানি থেকে ‘রোমার’ ব্রান্ডের ঘড়ি ক্রয় করেছেন। আজকে তাঁরা আরেকটি ব্র্যান্ডের ঘড়ি বাজারে এনেছে, যার নাম বেল অ্যান্ড রস।

ঘড়ি প্রেমীরা এই বিষয়ে আগ্রহী হবেন। বেল অ্যান্ড রস বাংলাদেশে সঠিক পার্টনারের মাধ্যমে এসেছে। আশা করি এই ব্র্যান্ড দেশে সফলভাবে পরিচালিত হবে।’

অনুষ্ঠানে সাকো ওয়াচ কম্পানির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ‘এই কম্পানির ঘড়ি খুবই আধুনিক এবং গুনগত মানসম্পন্ন।
এই ব্র্যান্ডের ঘড়ি বাংলাদেশে প্রথম আমরা নিয়ে এসেছি। আশা করি এই ঘড়ি বাজারে খুবই সফলভাবে বিক্রি হবে। শুধু ঘড়িই নয়, আমরা অরিজিনাল পার্টসও বিক্রি করছি। একই সঙ্গে আমরা ওমেগা সহ অনেক সুইস ব্র্যান্ডের ঘড়িও বিক্রি করি।’তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ ভারত সরকারের সময় ১৯১৪ সালে আমার দাদা আজিজুর রহমানের হাতে গড়া ‘এস এ ওয়াচ কোং’ কালক্রমে আমার বাবা মো. ওসমান এর নামকরণ করেন ‘সাকো ওয়াচ কোং’।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর দিল্লি থেকে পুরান ঢাকার ইসলামপুরে এই কম্পানি স্থানান্তর হয়, যা বর্তমানে বায়তুল মোকাররম, বনানী, বসুন্ধরাসহ ঢাকায় ৬টি শো রুম রয়েছে।সাকো ওয়াচ কম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মো. লুৎফুর রহমান ঘড়ি সম্পর্কে বলেন, ‘বেল অ্যান্ড রস সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘড়ি। এখন পর্যন্ত এর ২০টি মডেলের ঘড়ি এসেছে। যা সবগুলোই সুইজারল্যান্ডে তৈরি। রাজধানীর বনানী, বায়তুল মোকাররম, বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কে আমাদের মোট ৬টি শোরুম আছে। তবে বেল অ্যান্ড রস ঘড়ি শুধু আমাদের যমুনা ফিউচার পার্কে শো রুমে বিক্রি হবে। বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডের ঘড়ির একমাত্র পরিবেশক সাকো ওয়াচ অ্যান্ড কোং। এটা সুইস ব্র্যান্ডের ঘড়ি। এদের ইউনিক ডিজাইন, যে ভিন্নতা তা অন্য কোনো কম্পানির ঘড়িতে নেই। এই কম্পানি ১৯৯৪ সালে ঘড়ি প্রস্তুত শুরু করলেও বিশ্বে খুব দ্রুত প্রসার লাভ করছে। কারণ সারা পৃথিবীর তরুণ-তরুণী এই ঘড়ি বেশি পছন্দ করেন। ঘড়ির ডিজাইনটা খুবই আকর্ষণীয়। দুই বছরের আন্তর্জাতিক ওয়ারেন্টি রয়েছে। তবে আগামী জুন মাস থেকে কম্পানির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রয়কৃত ঘড়িটির তথ্য অনলাইনে আপডেট করলে ক্রেতা আরো এক বছর বেশি ওয়ারেন্টি পাবেন। তবে যেগুলো লিমিটেড এডিশন ঘড়ি সেগুলো আমরা ৫ বছরের আন্তর্জাতিক ওয়ারেন্টি প্রদান করছি। যেমন বেল অ্যান্ড রস একটি ডিজাইনের ঘড়ি মাত্র ৯৯ পিস প্রস্তুত করেছে। সারা বিশ্বে মাত্র ৯৯ জন মানুষের কাছে ওই ঘড়ি থাকবে। আমাদের শো-রুমে তার মধ্যে একটি ঘড়ি এসেছে। নিশ্চয়ই কোনো একজন গ্রাহক সেই ঘড়িটি কিনতে পারবেন। কিছু ডিজাইনের ঘড়িতে সোনা ও হীরা দেওয়া আছে।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বেল অ্যান্ড রোজ কম্পানির সিনিয়র সেলস ম্যানেজার রোমেইন ডেসমারেস্ট, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাকো ওয়াচ কম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইকরাম রহমান প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *