কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলাধীন উজানটিয়া ইউনিয়নে ফরিদা বেগম নামের এক বিধবা নারীর ঘরে ভাড়া করা সন্ত্রাসী দ্বারা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফরিদা বেগম একই এলাকার মৃত মো. হোসাইনের স্ত্রী।
শুক্রবার (১২ জুন) সকালের দিকে অত্র ইউনিয়নের পেকুয়ারচর এলাকার ফরিদা বেগমের বসতভিটায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, পেকুয়ারচর এলাকার মৃত ছব্বির আহমেদের ছেলে নেছার উদ্দিন ও নাজেম উদ্দিনের ছেলে তারেকের নেতৃত্বে ৬০/৭০ জনের মতো ভাড়া করা সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে বিধবা ফরিদা বেগমকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে হামলা চালায়। এতে ভুক্তভোগীর বাড়ির সীমানাপ্রাচীর (বেড়া) ভাঙার পাশাপাশি যাতায়াতের একমাত্র পথের রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, প্রায় দুই ঘন্টার মতো তান্ডব চালিয়ে বসতভিটা ছেড়ে না দিলে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে নেছার গং চলে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘ফরিদা বেগমের বসতভিটা নিয়ে বছর তিনেক আগে গ্রাম আদালত কর্তৃক একটি রায় সৃজন হয়েছিলো। যা দলিলের স্বপক্ষে যায়। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় এ রায়ের উপর ভিত্তি করে তো আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবেনা’।
দীর্ঘদিন ধরে যেহেতু বিধবা ফরিদা এই জায়গায় বসতি করে আসছে সেহেতু তাকে প্রক্রিয়া মেনেই উচ্ছেদ করা উচিৎ বলে মনে করেন ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম মুঠোফোনে মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমরা এখনো অবগত নয়। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: করোনার উপসর্গ কাটিয়ে উঠছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মৃত মো. হোসাইনের বিধবা স্ত্রী ফরিদা বেগম উক্ত বসতভিটায় জীবনযাপন করে আসছে। তার স্বামী মারা যাওয়ার বছর তিনেক পর নেছার উদ্দিন গং গ্রাম আদালতে ফরিদার বসতভিটা দাবি করে মামলা করেন। ১৯৯১ এর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে জমির কাগজপত্র তলিয়ে যাওয়ার কারনে এই মামলায় বিধবা মহিলা উপর্যুপরি তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিরোধীপক্ষ রায় পেয়ে বসতভিটা দখল করতে এই হামলা করে বলে মত দিয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।