আনন্দবাজারের ‘খয়রাতি’ শব্দের ব্যবহার ছোট মানসিকতার পরিচয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এশিয়ার দুই পরাশক্তি চীন-ভারত সীমান্তকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। সীমান্তের এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দুই দেশের নীতি-নির্ধারকসহ প্রতিটি স্তরে। এমন সময় বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্য বিনা শুল্কে রপ্তানির সুযোগ দেয় চীন।

চীনের দেওয়া এমন সুবিধাকে আনন্দবাজারসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ার এই শব্দটির ব্যবহার ছোট মানসিকতার পরিচয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (২২জুন) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটা খয়রাতি নয়। তাছাড়া এই বিষয়ে ভারত সরকার কোনো কিছু বলেনি। তবে দেশটির কয়েকটি পত্রিকা আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করেছে। তারা এমন শব্দ ব্যবহার করেছে যা কোনোভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয়।

চীনের দেওয়া সুবিধাকে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ফসল হিসেবে আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে ভারতীয় কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। চীনের দেওয়া সুবিধা সম্পর্কে যে শব্দের ব্যবহার তারা করেছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে চাই না। অনেকদিন ধরেই আমরা এই সুবিধা চীনের কাছে চেয়ে আসছিলাম।

আরও পড়ুন: অস্বস্তি, আতংক, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

গণমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, শুধু চীন নয়, এমনকি প্রতিবেশী ভারতের কাছেও এ ধরনের সুবিধা চেয়েছি এবং তারা খুবই উপযুক্ত সময়ে অন্যান্য এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছে। চীনের সাথে বাণিজ্যিক ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে আট হাজারের বেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *