ইরফান সেলিম, ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে যাকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে দুই মামলায় ৬ মাস করে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকেও ৬ মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার(২৫ অক্টোবর) র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ কারাদণ্ড দেন।
সোমবার সন্ধ্যায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিবরটি শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায় ।
এর আগে, সোমবার দুপুর ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র,মদ, বিয়ার ও ওয়াকিটকিসহ বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব। ঐ বাড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডুপ্লেক্স সিস্টেমে নির্মাণ করা হয়েছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্ণারের রুমটিতে বসবাস করতেন এমপি পুত্র ইরফান সেলিম।
এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পাশের কর্নারে ৫টি ওয়ারল্যাস এবিএস সিস্টেম ও ৪০টি ওয়াকিটকি সেট, একটি হ্যান্ডকাপ, একটি বন্দুক, বিদেশী মদের বোতল ও বিয়ার মদ পাওয়া গেছে। তার রুমের তোশকের নিচে ম্যাগজিন ভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগায় গাড়ি থেকে ইরফান সেলিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের এক কর্মকর্তাকে বেদম পিটিয়েছেন। রাত সোয়া ১০ টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল দুইই ধানমণ্ডি থানায় জব্দ করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।