জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া গার্মেন্টস কর্মী কুতুবদিয়ার শেকুফা আকতার সুমির লাশ দাফনে এলাকাবাসীর বাধার মুখে মৃতদেহ ফেলে চলে যান আত্মীয়-স্বজনরা। খবর পেয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) দিদারুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে দাফনকার্য সম্পন্ন করেছেন।
সোমবার (১ জুন) বিকেলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন জানায়, ইউনিয়নের ঘাটকুল পাড়ার বাসিন্দা শফিউল আলমের কন্যা শেকুফা আকতার সুমি (২১) কাজ করতেন চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস কারখানায়। চট্টগ্রামেই করোনা উপসর্গ নিয়ে রোববার (৩১ মে) রাতে মারা যান সুমি। স্বজনরা লাশটি পৌঁছে দেন কুতুবদিয়া দ্বীপে। এ অবস্থায় ঘাটকুল পাড়ার বাসিন্দারা স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফনে বাধা দিলে মৃতের সকল আত্মীয় স্বজন আত্মগোপনে চলে যান লাশ দাফন না করেই। এ অবস্থায় পুলিশ এসে কবর খনন থেকে শুরু করে দাফন কার্যের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস বলেন, ‘মেয়েটার করোনা রোগের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মারা যান বলে চট্টগ্রামের একজন চিকিৎসক আমাদের নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় দাফনের ব্যাপারে একটু বাধা সৃষ্টি হয়। এমনকি রোগীর স্বজনরাও মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নিজ দায়িত্বে লোক দিয়ে কবর খনন, মৃতদেহের গোসল, জানাজা ও দাফনকাজ সম্পন্ন করলাম।’