জামালপুরে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি

ছবি: সংগৃহিত

জামালপুরে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আনোয়ারা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে জামালপুর পৌর শহরের জিয়া হেলথ কমপ্লেক্স নামে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ওই নারী দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের শিংদহ গ্রামের অটোচালক বেলাল মিয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। গর্ভবতী হওয়ায় তার পরীক্ষার রিপোর্টে জমজ সন্তান হবে বলে জানিয়েছিল মাদারগেঞ্জর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এরপর থেকে সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিয়ে আসছিল তারা।

হঠাৎ সোমবার (১৭ আগস্ট) রাতে প্রসব ব্যথা শুরু হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে জামালপুর শহরের জিয়া হেলথ কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সকালের দিকে স্বাভাবিক নিয়মে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এর প্রায় ১ ঘণ্টা পরও আর কোনো সন্তান ভূমিষ্ঠ না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারে আরও তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।

আনোয়ারা বেগমের আরও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একটির বয়স ১১ ও অন্যটি ৬ বছর বয়সী।

এ ব্যাপারে গাইনি সার্জন ডা. সাজদা-ই-জান্নাত তনু দৈনিক অধিকারকে বলেন, আনোয়ার বেগম আমাদের তত্ত্বাবধানের রোগী ছিল না। দীর্ঘ প্রসব বেদনা নিয়ে সে সকাল ৬টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার গর্ভের বাচ্চার পজিশন ঠিক ছিল না। আমরা প্রাথমিকভাবে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করি এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরে তার বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে বুঝলাম তার জমজ সন্তান হবে। তখন আমরা নরমাল ডেলিভারির জন্য আরও ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম। কিন্তু আর কোনো সন্তান না হওয়ায় তার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে দ্রুত সার্জারি করা হয়। পরবর্তীতে আরও দুটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। আনোয়ারা বেগমসহ তার ৪টি সন্তানই সুস্থ আছে। তবে নবজাতকদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম থাকায় তাদের স্পেশাল কেয়ারের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অজ্ঞাত নবজাতকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

এ দিকে, একটি কন্যা ও একটি ছেলে সন্তানকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনকিউবেটরের ভেতরে রাখা হয়েছে। আর আনোয়ারার মা দুটি নবজাতকের যত্ন নিচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়।

এ ব্যাপারে আনোয়ারা বেগম দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘আমাকে একসাথে চার সন্তান দান করায় মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি সন্তুষ্ট। আমি সুস্থ আছি। দেশবাসীর কাছে সন্তানদের জন্য দোয়া চাই। তবে এখনও শিশুদের দেখিনি, তাদের দেখার জন্য মন আকুল হয়ে আছে।’

অন্যদিকে একসাথে চার সন্তান পৃথিবীতে আসায় তার পরিবারের সবাই খুশি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *