ঝিনাইদহ শহরে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিছিল থেকে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২ জন আহত ও একটি গাড়ী এবং প্রার্থীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সন্ধ্যায় শহরের পোস্ট অফিসের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। সেসময় মিছিলটি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে আসলে সেখান থেকে কিছু মানুষ স্বতস্ত্র প্রার্থীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটি দোকান ও একটি গাড়ী ভাংচুর করা হয়। এর কিছু সময় আগে শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে মনিরুজ্জামান আসলাম ও মাহাফুজুর রহমান ইপিআর নামের দু-জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক কাজী মো: সাহিদুজ্জামান জানান, মিছিলের পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া তেমন কিছু হয়নি।
শহরের কিংশুক বিপনীর কর্মচারী খালেক রহমান জানান, আমরা দোকানে বেচা কেনা করছিলাম। হঠাৎ একটি মিছিল থেকে কিছু লোক অতর্কিত এসে দোকানে ভাংচুর করে। সেসময় আমরা নিজেদের রক্ষার জন্য ছোটাছুটি করতে থাকি। তবে যারা হামলা করেছে তাদেরকে আমরা চিনতে পারিনি।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল খালেকের ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন দেওয়া হলে ভাগ্নে পরিচয়ে এক জন রিসিভ করে জানান, সে এখন জেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে মিটিংয়ে আছে।
তবে সম্বাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল জানান, নৌকার শ্লোগান দিতে দিতে একটি মিছিল আমার বাড়ি থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। হঠাৎ মিছিল থেকে কিছু মানুষ আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং রাস্তায় রাখা একটি মিনি ট্রাক ভাংচুর করা হয়। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, হামলার সময় কয়েকজন আমার বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে পরিবারের সদস্যরা ও নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন তারিখে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৮১ হাজার ৮শ’ ৪২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।