নাটোরে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রী সুমাইয়া হত্যার প্রধান ২ আসামি তার স্বামী মোস্তাক হোসেন ও শশুড় জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহঃস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সমানে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভোরে পুলিশের বিশেষ টিম বগুড়ার নন্দিগ্রাম এলাকা স্বামী মোস্তাককে এবং সকালে রাজশাহীর বাঘা এলাকা থেকে শশুড় জাকির হোসেন কে গ্রফেতার করে।
এর আগে ২২ জুন সুমাইয়ার মৃত্যুর পর রাতেই তার মা নুজহাত সুলতানা জামাই মোস্তাক সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।তাৎক্ষতিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ সুমাইয়ার শাশুড়ি সৈয়দা মালেক ও ননদ জুথিকে গ্রেফতার করে।বুধবার শাশুড়ি ও ননদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার জানান, পালিয়ে যাওয়া মূল আসামি স্বামী মোস্তাক ও শশুড় জাকির হোসেনকে গ্রেফতারে ৮টি টিম গঠন করে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া ২২ জুন নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকার স্বামীর বাড়িতে নিহত হন।সংজ্ঞাহীন সুমাইয়াকে নাটোর সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ শশুড়বাড়ির লোকজন।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরী হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।চাপ তৈরী হয় প্রশাসনের ওপর। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন (পিবিআই)।বুধবার তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে মূল আসামি গ্রেফতারের পর সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা ও এলাকাবসী স্বস্তি প্রকাশ করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।