পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন সম্পন্ন

ছবি: সংগৃহিত

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে শাব্বির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক সহ ৮২ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন করা হয়।

শনিবার (২৯ আগস্ট)  পৌরসভা কনফারেন্স রুমে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা  কমিটি গঠন উপলক্ষে  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি ও বান্দরবান জেলা সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান মুজিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের,কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও বান্দরবান জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী নাছিরুল আলম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও (চেয়ারম্যান আলীকদম উপজেলা) মোঃ আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ সাব্বির আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সিঃ যুগ্ম সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলার সভাপতি জনাব আবদুল মুজিদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাঃ সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক,কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাঃ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলার সাঃ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা সাঃ সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসাইন, নানিয়ারচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান, রাঙামাটি জেলার দপ্তর সম্পাদক মোঃ হাবিব আজম হাবিব সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের ছাত্র নেতা মোঃ আসাদুল্লাহ্ আসাদ, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ তাজুল ইসলাম, নাজিম আল হাসান, মামুনুর রশীদ মামুন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মুসা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন প্রকাশ্যে স্বায়ত্ত্বশাসনের কথা বললেও পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক রাজনীতির সাথে জড়িত জেএসএস, ইউপিডিএফ চক্র দীর্ঘদিন ধরেই পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড গঠনে তৎপর রয়েছে।

বিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই গোষ্ঠীর ব্যাপক ও সংঘবদ্ধ তৎপরতা চোখে পড়ে। তারা জুম্মল্যান্ডের মানচিত্র, সরকারী মনোগ্রাম, পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, জুম্মল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী তথা জুম্ম লিবারেশন আর্মি, জুম্মল্যান্ডের মুদ্রা, রেডিও ইত্যাদির ছবি প্রকাশ করে ব্যাপক প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে।

তাদের এই প্রচারণার মূল টার্গেট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঙালী। পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন সত্ত্বেও তা সম্পূর্ণ পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের জাতীয়তাবোধের বিরুদ্ধে, জাতীয় চেতনার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, হিংসা ও ঘৃণা ছড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ পাহাড়ীদের মধ্যে দেশপ্রেমহীনতা ও আনুগত্যহীনতা সৃষ্টি করে কল্পিত জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্রের প্রতি প্রেম ও আনুগত্য সৃষ্টি করা। তাদের এই বিদ্বেষূলক ও ঘৃণাত্মক প্রচারণার ফলে তরুণ ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলাদেশ বিরোধী মনোভাব গড়ে উঠছে।

পাহাড়ে শান্তি, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষন্ডতা রক্ষায় কাজ করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *