পেকুয়ায় প্রবাসে মৃতের সরকারি অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিকী ছবি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে প্রবাসে মৃত স্বামীর সরকারি অনুদান আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের মইয়্যাদিয়া পাড়া এলাকার মৃত নওশা মিয়ার ছেলে প্রবাসী জিয়াবুল করিম গত ১১ জুলাই ওমানে মারা যান। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাতে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হলে সরকারি অর্থায়নে শুক্রবার সকালে মইয়্যাদিয়ার পারিবারিক গোরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।

এমতাবস্থায় পরবর্তীতে সরকারি অনুদানের প্রতি শ্বশুরবাড়ির লোকজন লোভাতুর হয়ে মৃত জিয়াবুল করিমকে অবিবাহিত হিসেবে আখ্যা দিয়ে উক্ত অর্থ আত্মসাতের চেষ্ঠা করতেছে বলে অভিযোগ করেন জিয়াবুল করিমের স্ত্রী উর্মি বেগম।

উর্মি বেগম বলেন, বিবাহের দুই বছরের মাথায় আমার স্বামী প্রবাসে মারা যান। আমাদের একমাত্র মেয়ে তাচ্ছু মনিকে নিয়ে কোথায় যাবো তা আমার জানা নেই। ঠিক এই মুহুর্তে আমার স্বামীর মৃত্যুতে সরকারি অনুদানের টাকাগুলো হাতিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা ছলচাতুরীতে ব্যস্ত। মৃত স্বামীকে অবিবাহিত দেখিয়ে  ওদের নামে ব্যাংক চেক ইস্যু করাতে চেষ্ঠায় আছেন তারা।

উর্মি বেগমের ভাই মো. ইসমাইল বলেন, স্বামীহারা আমার বোন তাঁর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে গভীর শোকে আছেন। অসহায় মানুষটিকে কিছু অর্থের জন্য মানসিক যন্ত্রণার ভোগান্তিতে রাখাটা হবে অমানবিক। তাই চাইবো তাঁর অধিকার যেন সে পায়।

মৃত জিয়াবুল করিমের চাচাতো ভাই মো. হোছাইন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জিয়াবুলের পাসপোর্টে অবিবাহিত উল্লেখ থাকার কারনে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তাঁর বৈবাহিক অবস্থার কথা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, জিয়াবুল বিদেশে মারা যাওয়াতে সরকারিভাবে কিছু আর্থিক অনুদান পেতে যাচ্ছে। এই অনুদানের টাকা থেকে তাঁর বউকে বঞ্চিত করতে তাকে অবিবাহিত হিসেবে দেখানো হচ্ছে বলে শুনেছি।

আরও পড়ুন: ইমামকে পিটিয়ে জখম করলো মসজিদ কমিটির সভাপতি

২০১৭ সালে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রির মাধ্যমে জিয়াবুল করিমের সাথে একই উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নুরীর পাড়ার জুনাব আলীর মেয়ে উর্মি বেগমের সাথে বিয়ে হয় বলে জানান ইউপি সদস্য আরিফুল।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *