রিজার্ভ থেকে ঋণের বিষয়টি বাজেটের আগেই চূড়ান্ত হতে পারে

রিজার্ভ

রিজার্ভ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ নেওয়ার বিষয়টি আগামী বাজেটের আগেই চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল বিফ্রিং-এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন (৪ হাজার ২০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। গত জুলাইয়ে একনেক বৈঠক শেষে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রিজার্ভ থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ের সরকারের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন বলে আমি মনে করি। বাইরে ইনভেস্ট করলে ১ থেকে ২ শতাংশের বেশি আমরা পাই না। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে যদি বিনিয়োগ করা হয় এবং সেগুলো ডলারে রিসিভ করতে পারি তাহলে ফান্ড ফ্লো ইনটেক থাকলো এবং আমাদের ইনকামটাও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন এবং স্টাডি করছেন আমাদের আগামীতে কী পরিমাণ ফান্ড প্রয়োজন হবে, বিশেষ করে মেগা প্রকল্পে পেমেন্ট করার জন্য। সে সমস্ত বিষয় বিচার বিবেচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন, বাজেটের আগেই হয়ত তিনি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রসঙ্গক্রমে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম ৩০ ডিসেম্বরের আগে রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাব। আমরা তার আগেই তা নিয়ে যেতে পেরেছি। এটিই জাতির জন্য পাওনা। এছাড়া আমাদের কমিটমেন্ট আছে ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাব। হিসাব করেই বলছি এবং প্রত্যাশা করি, সে লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারব।

আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ফল ও মিষ্টি প্রেরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি জানান, গত জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন ডলারের মতো পেমেন্ট করেছি, সেটাও ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ থেকে যাচ্ছে। সব কিছু যাওয়ার পরও ৪২ বিলিয়ন ডলার নেট হাতে আছে। গত জুলাই থেকে নভেম্বর ৫ মাসে ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। বছরের টার্গেটের ৬০ শতাংশ ৫ মাসে চলে এসেছে। এই ফ্লো অব্যাহত রাখতে পারলে রিজার্ভ ফান্ড বেড়ে যাবে। পাশাপাশি যে সমস্ত মেগাপ্রকল্প আছে সেগুলোর পেমেন্টও করতে হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *